সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত শ্রুতিকুঞ্জের সংগীত কর্মশালা

নীরেশ ভৌমিক : গত ১২ মে অনুষ্ঠিত হয় হাবড়ার উল্লেখযোগ্য সংগীত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান শ্রুতি কুঞ্জের বার্ষিক সংগীত কর্মশালা। এদিন সকালে হাবড়ার স্বামীজি পল্লীর শ্রুতিকুঞ্জ ভবনে প্রদীপ প্রোজ্জ্বলন ও দেবী সরস্বতীর মূর্তিতে ফুল-মালা অর্পণের মধ্য দিয়ে আয়োজিত সংগীত কর্মশালার সূচনা হয়।

উদ্বোধন করেন অশোকনগর নেতাজী শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকা পাপড়ি চক্রবর্তী। শ্রুতিকুঞ্জের প্রাণপুরুষ বিশিষ্ট সংগীত প্রশিক্ষক অরিন্দম সেন কর্মশালার উদ্বোধক ও

প্রধান অতিথি অধ্যাপিকা শ্রীমতী চক্রবর্তীকে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় ও স্মারক উপহারে বরণ করে নেন। কর্মশালার মুখ্য বক্তা পাপড়ি দেবী তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে বাংলা সংগীত জগতের সেকাল-একাল তুলে ধরে মনোজ্ঞ ভাষণ দেন।

সংগীত এবং সেইসঙ্গে বাংলা সাহিত্যের উপর বিশদে আলোচনা করেন অধ্যাপিকা কৃষ্ণা মিত্র। শাস্ত্রীয় সংগীতের উপর আলোকপাত করে খেয়াল সঙ্গীত পরিবেশন করেন ছত্তিশগড়ের ইন্দিরা কলা সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক দীপশংকর ভৌমিক।

মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন সু-গায়িকা ও নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা মানসী ঘোষ দস্তিদার। শিল্পীদের যন্ত্র সঙ্গীতে সহযোগিতা করেন বিশিষ্ট তবলিয়া অধ্যাপক রাজু সরকার, প্রশিক্ষক শাশ্বত গুহ, হারমোনিয়ামের শিক্ষক অরিন্দম সেন এবং তানপুরায় বৈভব চক্রবর্তী।

ছিলেন তালিম শিক্ষক সুরজিৎ দাস, প্রতিষ্ঠানের জনা পঞ্চাশ শিক্ষার্থী এদিনের কর্মশালায় অংশ নেনসংগীত জগতের বিশিষ্ট শিক্ষক, অধ্যাপক’গণ এই ধরনের কর্মশালার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে

কর্মশালার আয়োজক শ্রুতিকুঞ্জের কর্ণধার অরিন্দমের এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। কর্মশালায় উপস্থিত ছোট-বড় সকল প্রশিক্ষনার্থী’গণের মধ্যে এদিনের কর্মশালাকে ঘিরে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা চোখে পড়ে।









