আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

রাজ্য

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে মা ও শিশু উৎসব হল হেলেঞ্চা ড. বি.আর.আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের মিটিং-হলে

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : আজ ডঃ বি আর আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল “মা ও শিশু উৎসব”। কলেজের এন এস এস ইউনিট এর পক্ষ থেকে চলমান সাতদিনের এই বিশেষ শিবিরের আজ ছিল ষষ্ঠ দিন। তাই এই শিবিরকে আরও সমাজমুখী করে তুলতে কলেজটির পক্ষ থেকে আজ আয়োজন করা হয়েছিল ‘মা ও শিশু উৎসবের’।

এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল পশ্চিমবঙ্গের ‘বিড়া অঙ্গীকার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। উদ্দেশ্য ছিল, এলাকার মা ও শিশুদের জন্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের জীবনের বিকাশ ঘটানো তথা শিশুর চরিত্র গঠনে মায়ের ভূমিকা বিষয়ক সম্যক জ্ঞান প্রদান।

ফলত প্রতিদিনের মতো আজকের দিনেও কলেজের এন এস এস-এর সকল স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের শরীরচর্চা শেষ করে এলাকার কয়েকটি স্কুলের মা ও শিশুদের (প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী) জন্যে ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা।

এদিনের অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল, প্রতিযোগিতা মূলক শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশুদের মৃৎশিল্পের ওয়ার্কশপ, মায়েদের জুয়েলারি ওয়ার্কশপ সহ শিশুদের ও মায়েদের জন্য ছিল ইনোভেটিভ খেলাও। এ ছাড়াও সকলের বিনোদনের জন্য ছিল মনোজ্ঞ ম্যাজিক শো। 

সবশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চে কলেজটির উন্নয়নের কারিগর সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস সমাজ গঠনে যুব সমাজের ভুমিকা এবং শিশুর বেড়ে ওঠার পিছনে মা-বাবার ভুমিকা সম্পর্কেও তথ্য নির্ভর বার্তা দেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আগামীতেও কলেজের পক্ষ থেকে তাঁদের সাধ্যমতো আরও বেশি পরিমানে সমাজের সর্বত্র সামাজিক পরিষেবা পৌঁছে দেবার চেষ্টা করবেন। সেই সাথে কলেজের এন এস এস ইউনিটের এ সকল মহতী উদ্যোগ গুলোকেও যথেষ্ট সাধুবাদও জানিয়েছেন তিনি।

কলেজের এন এস এস-এর প্রোগ্রাম অফিসার তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের এই সাফল্য সম্পূর্ণ মাত্রায় নির্ভর করেছিল কলেজের সু-যোগ্য অধ্যক্ষ ডঃ চিত্তরঞ্জন দাশ কর্তৃক এন এস এস-এর পূর্ণমাত্রায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্যই।

পাশাপাশি এন এস এস উপদেষ্টা কমিটির সকল সদসস্যের পূর্ণ সহযোগিতা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আত্মিক শ্রমও এই সাফল্যের সমান অংশীদার। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, কলেজের দক্ষ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষা, অর্থ আধিকারিক সহ সকল স্টাফ, উপদেষ্টা কমিটির ও সর্বোপরি স্বেচ্ছাসেবকদের কিছু করে দেখানোর প্রয়াস আগামীতে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

উল্লেখ্য, ‘এই সমাজ কল্যাণ মূলক অনুষ্ঠানটি’ রীতিমত সমৃদ্ধ হয়, কলেজটির সু-যোগ্য অধ্যক্ষ, সহঃঅধ্যক্ষ্যা, প্রফেসরগন, স্থানীয় সাংবাদিক, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ এলাকার অসংখ্য মায়েরা উপস্থিতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *