মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের গ্রন্থাবলী তুলে দেওয়া হল মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম মঠে
পারফেক্ট টাইম নিউজ ডেস্ক : বহু ভাষাবিদ নগেন্দ্রনাথ ভাদুড়ী তখন ছিলেন বালি ইংলিশ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই প্রধান শিক্ষক থাকাকালীনই ১৮৮১ সালে দক্ষিণেশ্বরে পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সেদিন তিনি নিজের রচিত এবং সুরারোপিত পরমার্থ সঙ্গীতাবলী গেয়েও শোনান পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণকে। এই নগেন্দ্রনাথ ভাদুড়ীই পরবর্তীকালের পৃথিবী বিখ্যাত “The Levitating Saint”। কিন্তু লঘিমা সিদ্ধ যোগী হলেও নগেন্দ্রনাথ ভাদুড়ী অর্থাৎ মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের ভক্তি মার্গে সাধনা এবং যোগ ভক্তি মার্গের প্রতিষ্ঠা – নিঃসন্দেহে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের প্রভাবিত।
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে ভাদুড়ী মহাশয় (Bhaduri Mahasaya) অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের সেই দিব্য সাক্ষাৎকার স্মরণে মহর্ষিদেবের মহাসমাধি মাসে গতকাল মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম মঠে এক সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পরিবার, কলকাতার সনাতন ধর্ম প্রচারিণী সভা, শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনের প্রতিনিধি হিসেবে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের প্রপৌত্রী শিবানী ভট্টাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুত্র – পুরাণ গবেষক ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।গতকাল মঠের গ্রন্থাগারের জন্য মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম মঠের সম্পাদক স্বামী শিবেশানন্দের হাতে তাঁরা তুলে দেন পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের মহাজীবন কথা ও বাণী সম্বলিত বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি গ্রন্থাবলী। এ প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের সম্পাদক ড. রবীন্দ্রনাথ কর বলেন, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস এবং পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের এই মহামিলনের ঐতিহাসিক ঘটনাকে সামনে রেখে আমারা পথ চলছি।
