গাইঘাটার গাজনায় তরুণ তীর্থের বার্ষিক উৎসবে নানা অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা
নীরেশ ভৌমিক: আজকের শিশু কিশোররাই হচ্ছে আগামী সমাজের কর্ণধার। তাই সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখী সমাজ গড়ে তুলতে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশু ও কিশোরদের একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে গাইঘাটার গাজনা তরুণ তীর্থ বিগত বছরের মত এবারও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ২৩ জানুয়ারি মহান দেশনায়ক ও স্বাধীনতা যোদ্ধা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৯ তম জন্মজয়ন্তীর সকালে গাজনা কিশলয় তরুণ তীর্থের সদস্যরা এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের বাড়ি গিয়ে তাদের হাতে পুষ্পস্তবক ও শীতবস্ত্র (শাল) তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তরুণ তীর্থ শিক্ষালয় অঙ্গনে তরুণ তীর্থের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী’গণ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের প্রতিকৃতিতে ফুল-মালা অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ছাত্র-ছাত্রীরা বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। মধ্যাহ্নে আয়োজিত তরুন তীর্থের ভূতপূর্ব রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত রঞ্জিত বসুর স্মরণ সভায় বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তরুণ তীর্থের রাজ্য সভাপতি শিক্ষারত্ন অমল নায়েক, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বর্ষিয়ান সুবোধ ভৌমিক, সম্পাদক ভাস্কর বসু, প্রশিক্ষক শিবু দে, সুখেন্দু নস্কর, প্রবীর দাস, ছিলেন শিক্ষানুরাগী রূপক বসু ও প্রয়াত রঞ্জিত বসুর সহধর্মিনী নমিতা দেবী প্রমূখ।তরুণ সঙ্গীতশিল্পী দেবত্র বসুর উদাত্ত কণ্ঠে গাওয়া সংগীতের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা হয়।

প্রয়াত রঞ্জিতবাবুর স্মরণে সঞ্চালক কিশোর ব্যাপারীর স্বরচিত কবিতা পাঠ উপস্থিত সকলের প্রশংসা লাভ করে। বিশিষ্ট বক্তা’গণের স্মৃতিচারণায় দক্ষ সংগঠক স্পষ্টবাদী, সৎ, নির্ভীক রঞ্জিতবাবুর সততা, নিষ্ঠা, পবিত্রতা ইত্যাদি বিষয়গুলি উঠে আসে। উপস্থিত সকলের তাঁর আদর্শ মেনে চলার শপথ গ্রহণ করেন। চার দিন ব্যাপী আয়োজিত বার্ষিক উৎসবে তরুণ তীর্থের শিক্ষার্থীরা সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, প্রশ্নোত্তর, কুইজ, বক্তৃতা ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায় গুণীজন সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীগণের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় শিক্ষামূলক নাটিকা। তরুণ তীর্থের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী’গণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে সমগ্র অনুষ্ঠান বেশ মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে।







