বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে বিশেষ গ্রাম সভা চাঁদপাড়া অঞ্চলে
নীরেশ ভৌমিক : আবাস যোজনায় দরিদ্র মানুষজনকে বাসগৃহ নির্মাণের জন্য সরকার থেকে অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। এরাজ্যে এমাসেই সেই অর্থ প্রাপকদের ব্যাংকের একাউন্টে পাঠানো হবে। সেই অর্থ যাতে প্রকৃত দরিদ্র মানুষজন পায় সেজন্য সরকারি কর্মী আধিকারিক’গণ সরজমিনে তদন্ত করে প্রকৃত প্রাপকদের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছেন।
তথাপিও কোথাও কোথাও প্রকৃত প্রাপকরা বঞ্চিত হন। অনেক ক্ষেত্রে একতলা দোতলা বাড়ির মালিক, সরকারি চাকুরিজীবী, শিক্ষক, রেশন ডিলার, পঞ্চায়েত প্রধান, পৌরসভার কাউন্সিলর সহ অবস্থাপন্ন বহু ব্যক্তির নাম আবাসের তালিকায় স্থান পায়।
যা নিয়ে শোরগোল ওঠে। যোগ্য প্রাপকগণ বঞ্চিত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষজন সরকার বা প্রশাসনের সমালোচনা করেন। এসব সমস্যা দূর করতে এবং সঠিকভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের বসত গৃহের অর্থ প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি বিশেষ গ্রাম সভার আহ্বান করে।
৪ ডিসেম্বর চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ স্থানীয় চাঁদপাড়া নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পকে সার্থক করে তুলতে উপভোক্তাদের এক সভার আয়োজন করে। সভায় অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশো মানুষ উপস্থিত হন।
অঞ্চল প্রধান দীপক দাস আহুত সভার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন। উপস্থিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মধুসূদন সিংহ বলেন, আবাস প্রকল্পে বসত গৃহ নির্মাণের জন্য মোট বরাদ্দ অর্থের ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার এবং ৪০ শতাংশ রাজ্য সরকার দিয়ে থাকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই অর্থ দিচ্ছে না।
তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কোষাগার থেকে এবারে সেই অর্থ বরাদ্দ করেছেন। পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক সোমা সাহা জানান, চাঁদপাড়া অঞ্চলের মোট ৫৪৩ জন যোগ্য ব্যক্তির নাম বিবেচিত হয়েছে।
৪৭ জন উপভোক্তাকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আর ১৭ জন ব্যক্তির নাম বিবেচনায় রয়েছে। প্রধান শ্রীদাস বলেন, প্রত্যেক তিন কিস্তিতে টাকাটা প্রদান করা হবে।
বরাদ্দ অর্থে সঠিকভাবে গৃহ নির্মাণের আহ্বান জানান প্রধান দীপক বাবু। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রবীণ পঞ্চায়েত সদস্য শতদল দেব। উপস্থিত ছিলেন পিডিও সুদীপ্ত দাস সহ অঞ্চলের অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যগণ।