মহালয়ার দিনে প্রায় ৬০০ লোককে নিরামিষ ভোজন ছাত্র সংঘের,ছোট-বড়-গরীব-দুঃখী মিলে মিশে একাকার, যেন এক মিলন মেলা হয়ে গেল ক্লাব মাঠে
পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল রিপোর্টার দিপ্যমান সাহার সাথে ক্যামেরায় গৌরব কর্মকার : গ্রামবাসী সহ আমন্ত্রিত প্রায় ৬০০ লোক চেটেপুটে খেলো সাদা ভাত, শুকতো, ভেজ ডাল, পনিরের তরকারী, চাটনী, পাপড় ও পায়েস। মহৎসবের মত একে বারে মাটিতে বসে নয়, তাবুর নিচে বসে, রীতিমত ডেকরেটর থেকে চেয়ার টেবিল ভাড়া করে, ক্যাটারিং সিস্টেমে আপ্যায়ন করা হয় নিমন্ত্রিতদের।
এই ঘটনা কোন বিয়ে বা অনুষ্ঠান বাড়ির নয়, পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে তথা মহালয়ার দিনে এই আয়োজন করলো বাগদার ঐতিহ্যবাহী ‘ছাত্র সংঘ’ ক্লাব। নিরামিষ ভোজনে পরিতৃপ্ত বছর আশির বয়স্ক মহিলা ‘বাসন্তী সাহা’ বলেন, আগে এমনটা হত না, এই ছাত্র সংঘের ছেলেদের বয়সটা কম হলেও মনটা খুবই বড়। হোক নিরামিষ, এত বড় মাপের পূজোর ধকল মিটিয়ে ৬০০ লোকের খাওয়ানো চাড্ডি খানি কথা !!
মুকুলের সাথে ক্লাবের সবাই নিরলস ভাবে খেটে চলেছে। ওদের জন্য আমার অন্তর থেকে আশির্ব্বাদ করছি ওরা অনেক ভালো থাকুক। এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা সমাজ সেবক সূজয় বাবু বলেন, এলাকার ছোট-বড়-গরীব-দুঃখী সবাই মিলে এক সঙ্গে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। ছাত্র সংঘের ছেলেদের এই প্রয়াসকে আমার কূর্ণিশ। পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে তথা মহালয়ার দিনে ‘ছাত্র সংঘের’ এই আয়োজন পরিনত হয়েছে এক মিলন মেলায়। এটা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা মাইল ফলক হয়ে থাকবে।