জানা ও অজানা

সময়ের স্রোতে যদি কখনো ভেসে যাই দূরে, কখনো ভেবোনা তোমাদের প্রিয় ” ডাঃ অলোক” স্বার্থপর, অলোকরা কখনো হারিয়ে যায়না

পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল থেকে উৎস সাহার রিপোর্ট :  শঙ্করের হৃদয়াকাশে সাঁঝ ঘনিয়ে আসার আগেই এক পশলা ঝিপঝিপে বৃষ্টি, ব্যাস, যেন সকল ঘন কালো মেঘেরা ভুলে গেল তাঁদের অভিমান। নর-রূপে গরীবের ভগবান, বাগদার বহুলালোচিত ডেন্টার সার্জেন ডাঃ অলোক দাস তাঁর প্রাণের ব্যাথা বুঝতে পেরেই ছুঁটে গেল বাগদা ব্লকের পাটকেলগাছা গ্রামের শঙ্কর পাড়ুইয়ের বাড়ি। ক’দিন আগে যে এই গরীব পাড়ুইয়ের মাতৃ বিয়োগ হয়েছে। পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম করার পর গ্রামের কয়েক জন মানুষের পাতে দু’মুঠো লবন ভাত তুলে দেবার সামর্থ টুকুও যে নেই তার। সেটা বুঝতে পেরে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ডাক্তার বাবু।

গরীব শঙ্করের মায়ের আত্মার শান্তি পাবে, হাসি ফুটবে অসহায় শঙ্করের মুখে। যেমন ভাবা তেমন কাজ তাৎক্ষনিক ভাবে ২০০ জন গ্রামবাসীর পাতে সামান্য ডাল ভাতের আয়োজন করে দিলেন নিজের কষ্টার্জিত অর্থে। পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টালেরএক প্রশ্নের উত্তরে এলাকার অসংখ্য গরীব মানুষের স্নেহধন্য ডেন্টার সার্জেন ডাঃ অলোক দাস বলেন, গরীব মানুষের চোখের জল আমাকে বড় পীড়া দেয়। আমি নিজেও একটা গরীব পরিবার থেকে উঠে এসেছি, এদের কষ্ট গুলো খুর কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ভগবান। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানোর সৌভাগ্য আমার হয়নি তাইতো তাদের প্রাণের ব্যাথা বুঝতে আমার মোটেও অসুবিধা হয়না। দিন-আনা-দন-খাওয়া এক সৎ দম্পতির ঘরে হয়ে জন্মেছি। গরীব মানুষের কান্নায় আমার চোখে জল আসা নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গরীবদের ভূল-তো সারা জীবনই হয়, তারা-তো রাত্রির কাছে চেয়ে বসে সূর্য্য। আর একজন হৃদয়হীনার কাছে চেয়ে বসে হৃদয়। গরীবদের সমন্ধে অন্যদের ধারনা এমনটায়। তাই আবারও বলি,” হে আমার গরীব ভাই-বোনেরা, সময়ের স্রোতে যদি কখনো ভেসে যাই দূরে, কখনো ভেবোনা তোমাদের প্রিয় ” ডাঃ অলোক” স্বার্থপর। অলোকরা কখনো হারিয়ে যায়না। সে সর্ব্বদা মিশে আছে তোমাদেরই হৃদয়ে। তোমাদের মলিন মুখের একটু হাসি দেখবার জন্যই যে তাঁর বেঁচে থাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *